অবশেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা সনাক্তের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ঔষধপ্রশাসন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক চিঠি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তা জানানো হয়েছে।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অথবা আইসিডিডিআরবি’র যে কোনো একটিতে পরীক্ষা করার কথা বলেছে। তবে আমরা বিএসএমএমইউতে এই কিট পরীক্ষা করাবো।’
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যকেও চিঠি দিয়ে অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছে বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
গত শনিবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে কিটের নমুনা মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসিকে হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তাতে সরকারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও কেউ যায়নি।
এরপর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কিট পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও তা গ্রহণ করেনি অধিদপ্তর। এরপর ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, অধিদপ্তর জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন- ‘গত ৪৮বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি, দেবে না। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কীট পরীক্ষা করতেও কাউকে ঘুষ দেব না। কিন্তু লড়াই করে যাব।’
ডা. জাফরুল্লাহর এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ঔষধপ্রশাসন অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতে থাকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এসবের মধ্যেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিল ঔষধপ্রশাসন অধিদপ্তর।