‘খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে বান্দরবানে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন

’খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধনের একাংশ। ছবি: সুফল চাকমা

‘অপপ্রচার ও ধর্মীয় উস্কানি’র প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বান্দরবানের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। ২৫ অক্টোবর শনিবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ধর্মকে ঘিরে উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, খ্রিষ্টান করণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে এনজিওদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে।”

বক্তারা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসন সবসময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে। তারা বলেন, খ্রিষ্টান মিশনারি ও দাতা সংস্থাগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে— ধর্মান্তর করাই তাদের উদ্দেশ্য নয়।

বক্তারা আরও বলেন, ত্রিপুরা ও বম সম্প্রদায়ের মানুষ শত শত বছর ধরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তাই তাদের ‘নতুন করে খ্রিষ্টান বানানোর’ অপপ্রচার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বরং স্বাধীনতার পর থেকে বান্দরবানের লামা, আলিকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে ত্রিপুরা ও ম্রো সম্প্রদায়ের বহু মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

তারা আরও বলেন, “রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ উদ্ধার করতে না পারলে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মকে ব্যবহার করে উস্কানি ও বিভাজন সৃষ্টি করে। আমরা পরস্পরকে দোষারোপ নয়, বরং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের সুযোগ চাই।”

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জন ত্রিপুরা, লেলুং খুমী ও দীনেন্দ্র ত্রিপুরা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লালজার লম বম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর ১২ জন বিদেশি নাগরিক বান্দরবানের একটি হোটেলে অবস্থান এবং সেখানে ধর্মীয় সভার আয়োজন করেছেন, এমন অভিযোগে হোটেলটি ঘেরাও করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি জানায়, বিদেশি নাগরিকরা বান্দরবানে তাদের ভ্রমণের অনুমতির শর্ত লঙ্ঘন করে ধর্মীয় প্রচারনা চালাচ্ছিলেন। পরে প্রতিবাদের মুখে তারা হোটেল ত্যাগ করেন এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বান্দরবান ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুন