বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।’
‘আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, যে অর্জন তা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্যই হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিনত হয়েছে।’
২৪ নভেম্বর রোববার খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি’র সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক মংসেপ্রু চৌধুরী ও শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরা, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চাইথো অং মারমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ‘সরকারের কর্মকান্ডে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা ও বুদ্ধিজীবি খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতাকর্মীরা।’
তাদের কোন অস্তিত্ব নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন. ‘তারা যখন ক্ষমতায় ছিল পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মা ও ছেলে মিল্লা দেশটারে খাইছে গিল্লা।’ হাওয়া ভবন সুষ্টি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে জেল খাটছেন।’
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনস্থলে যোগদান করেন। এ সময় সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলা শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলনস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মো. মাহবুব উল আলম হানিফ।
পরে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সভাপতি, নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক ও দিদারুল আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষনা করা হয়।