খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলের হত্যায় খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কদমতলীস্থ জেলা পরিষদের ট্রেনিং সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সভাপতি মো: আমির হোসেন।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুর ন্নবী চৌধুরী, সহ-সভাপতি মনির হোসেন, রণ বিক্রম ত্রিপুরা, যুগ্ম সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মংশেইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা যুবলীগ সভাপতি যতন ত্রিপুরা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইস উদ্দিনসহ দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রাসেল হত্যাকান্ডের জন্য খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, তার ভাই জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদক বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমকে দায়ী করেন। এ সময় রাসেলকে ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবী করে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার কথা তুলে ধরেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাসেলের বাবা নুর হোসেন ও মা খোদেজা বেগমসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
রণ বিক্রম ত্রিপুরা তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের পর থেকে মেয়র রফিকুল আলম ও তার নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে হামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন।
নিহতের মা খোদেজা বেগম অভিযোগ করেন, রাসেল এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পক্ষে সমর্থন করায় মেয়রের গ্রুপের লোকজন প্রায় তাকে ঘরে গিয়ে হুমকি দিত। হত্যার ঘটনায় মামলা করায় এখনো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি ছেলের খুনীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদরের মিলনপুর এলাকায় রাসেলকে কুপিয়ে জখম করলে আহত অবস্থায় চট্টগ্রামে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের এমপি সমর্থিত অংশ ও নিহতের পরিবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলম ও তার অনুসারীদের দায়ী করে আসছে।
অপরদিকে জাহেদুল আলম ও মেয়র সমর্থকরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় ঘায়েলের জন্য মেয়র রফিকুল আলম ও জাহেদুল আলম সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা দায়ী করে আসছে বলে অভিযোগ করে অংশটি।