দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বিএনপি অাগামিতে ক্ষমাতায় গেলে শেখ হাসিনাসহ দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের স্থান হবে কারাগারে। এ সময় তিনি আরো বলেন, ৩২ ধারা ৫৭ ধারার চেয়ে ভয়ঙ্কর। ৫৭ ধারায় আমাকে চার বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। সে মামলায় এখনও পর্যন্ত চার্জশিট দেয়া হয়নি।
সোমবার খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের হওয়া মানহানী মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনের জামিননামা জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে দখলদার সরকারকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উৎখাত করে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে জনগণের ভোটারাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফজাল আহমদসহ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী এডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের হওয়া মানহানী মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে সোমবার তিনি খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জয়নাল আবেদীনের আদালতে জামিনের কাগজপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুটক্তিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এক কোটি টাকার মানহানীর মামলা দায়ের করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বজিৎ রায় দাশ।