খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাত আর ভারী বর্ষণে বন্যার পানি কমলেও যেন রেহাই নেই বন্যা দূর্গতদের। খরস্রোতা চেঙ্গী,মাঈনী ও ফেনী নদীর পানি কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও ধস। চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী,গঞ্জপাড়া,বটতলীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গছে নদীর তীর। বিলীন হচ্ছে স্থানীয়দের বেঁচে থাকার অবলম্বন ফসলি জমি।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মধুপুর বাজারে ৯টি দোকানসহ চলাচলের গ্রামীণ যোগাযোগ ভেঙ্গে পড়েছে । খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশ্ববর্তী মহাসড়কের ভাঙ্গনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে হুমকিতে।
চেঙ্গী,মাঈনী ও ফেনী নদীর বন্যার পানি কমলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। গ্রামীণ সড়কে ভোগান্তি,ভাঙ্গনে এলোমেলো ঘর গোছাতে ব্যস্ত ভারী বর্ষণের প্লাবিত এলাকার মানুষগুলো। গত কয়েকদিনে দিঘীনালার মাঈনী, রামগড়ের ফেনী,পানছড়ি ও খাগড়ছড়ির চেঙ্গী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে জেলাজুড়ে উৎপাদনের লক্ষ নিয়ে নির্মিত বীজতলায় রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে টানা ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে পানছড়ি উপজেলার দুধুকছড়া ফুট ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে,নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে উপজেলার চেংগী ইউপি কার্যালয়। বন্ধ হয়েছে উপজেলার মুনিপুর-তারাবন সড়ক যোগাযোগ। পানছড়িতে প্রায় ১১টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও হুমকিতে রয়েছে স্কুল,মাদরাসা,অফিস,বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
মাঈনী নদীর ভাঙ্গনে দিঘীনালার চোংড়াছড়ি ,মেরুং ,বোয়ালখালীর হাসিনশরপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পাহাড়ের বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া ও খালের ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী ভয়াবহ এ ভাঙ্গন ও ধস নিয়ন্ত্রণে দ্রুত নেওয়া হবে যথযথা ব্যবস্থা।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মর্তুজা আলী জানান, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়িতে ১ শত ৪৩ হেক্টর রোপা আমন নিমজ্জিত হয়েছে। তবে সর্বমোট কি পরিমান জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা নিরুপনে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে যে সব সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা মেরামতসহ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ চলমান।