কয়লা দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ মিলেছে, অনুসন্ধানে দুদক টিম

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা ‘গায়েব’ হওয়ার দুর্নীতির ঘটনায় অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার কমিশন এ অনুসন্ধান টিম গঠন করে। একইসঙ্গে এই টিমকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকালে দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে দুদকের অপর একটি বিশেষ টিম বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে অভিযান চালিয়েছে। তারা সেখানে গিয়ে কয়লা দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গায়েব হয়ে যাওয়া এই কয়লার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকার বেশি। অপরদিকে কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন গত রবিবার রাতে বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা ‘গায়েব’ হওয়ার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এ সব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কমিশন সোমবার বিশেষ বৈঠক করে। বৈঠকে এ দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। এই টিমের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় দুদকের সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। আর এ অনুসন্ধান টিমের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয় দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।
এদিকে দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সোমবার বিকালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় তারা কয়লার এ দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। দুদক সূত্র জানিয়েছে, দুদকের এ টিম কয়লা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা। বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে এ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। অপরদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কয়লা খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
সৌজন্যে ঃ দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন
শেয়ার করুন