বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের দুর্গম নোয়াপতং মুখ পাড়ার মংহ্লাচিং মারমা (১৪) প্রায় এক বছর ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।
জুমচাষী পিতা উচহ্লা মারমার(৫০)স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। নিজের জায়গা-জমিতে জুম চাষের পাশাপাশি কটা গরু পালতেন। পরিবারের ভরণপোষণ আর সন্তানকে বান্দরবান জেলা সদরে রেখে যাবতীয় খরচ করে নূন আনতে পানতা ফুরোয় অবস্থা। খরচের হিমশিম খাওয়া সামলাতে কখনো কখনো পাড়া-প্রতিবেশীদের জমিতে গতর খাটতেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পরিবারের সম্ভাবনা প্রতিম সন্তান মংহ্লাচিং ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বছরব্যাপি মালুমঘাট খৃষ্টান মিশনারি হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রফেসর ডাঃ মিজানুর রহমান-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ক’দিন আগে অবস্থার পরিবর্তন না হবার সাথে সাথে ডাঃ মিজান শারীরিক অবনতির আশংকা করে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকার হাসপাতালে রেফার করেন। ইতোমধ্যে বিগত এক বছর যাবৎ চিকিৎসা ব্যয় এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ওষুধ-পথ্য কিনতে গিয়ে মংহ্লাচিং-এর পিতা উচহ্লা প্রায় সর্বস্বান্ত। গবাদিপশু বিক্রির টাকা ও জমা-জিরাত সবই আর অবশিষ্ট নেই। নিরূপায় পিতা উচহ্লা কোন গত্যন্তর না পেয়ে ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাবার পরিবর্তে দুর্গম গ্রামে ফিরে এসেছেন।
ইতোমধ্যে একটি সামাজিক সংগঠন-এর ডোর-টু-ডোর কালেকশান এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক যে সহায়তা পেয়েছে তা তার ঢাকায় চিকিৎসার প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে অপারেশন, পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ার এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্রাদির জন্য নিতান্তই অপ্রতুল। এমনিতেই ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ হওয়ায় জুমচাষী উচহ্লার পরিবার দিশেহারা দিনাতিপাত করছে। মংহ্লাচিং এর পরিবার সমাজ ও দেশের মানবতাবাদী সাদা মনের মানুষদের সহায়তার হাত প্রসারের আকূল আবেদন জানিয়েছে।
মংহ্লাচিং সম্পর্কে জানতে এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মংহ্লাচিং-এর ভাই থোয়াই উ প্রূর এই নাম্বারে ০১৯৮৯-৬৮৮২২৮(পার্সোনাল বিকাশ) যোগাযোগ করা যাবে। দেশের মানবতাবাদীরা এগিয়ে এলে ক্যান্সারকে জয় করে স্কুলছাত্র মংহ্লাচিং অমানিশার মেঘ সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বলে প্রত্যাশিত।