সারা দিন নানা দরকারে পানি ব্যবহার করতে হয়। গোসল কিংবা হাত–মুখ ধোয়ার পর প্রথমেই প্রয়োজন হয় একটি তোয়ালের। বাজারে অনেক রকম তোয়ালে পাওয়া গেলেও সব কাজের জন্য কিন্তু সব তোয়ালে নয়।
সাধারণত সাত ধরনের তোয়ালে বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাথ টাওয়েল, হাত তোয়ালে বা হ্যান্ড টাওয়েল, ফেইস টাওয়েল, বাথরোব (গোসলের পর গায়ে পরার তোয়ালে), বাথ ম্যাট, সুইমিং টাওয়েল ও মাসাজ টাওয়েল। এত ধরন–ধারণের তোয়ালে অবশ্য পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতেই ব্যবহার করা হয়।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের চিফ এক্সিকিউটিভ হাউসকিপার ওলিউল্লাহ বলেন, ‘আরামদায়ক হয় বলে আমরা সুতির তোয়ালেই এনে থাকি। এ ছাড়া তোয়ালেগুলো ব্যবহারের পর পরিষ্কার করার জন্য নিজস্ব লন্ড্রিতে দেওয়া হয়, যেখানে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই ধোয়া হয়। আবার শুকানোর জন্যও রয়েছে যন্ত্র। কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে এগুলোর রং হয় ভিন্ন ভিন্ন। ঘরে ব্যবহারের জন্য সাধারণত সাদা, সুইমিংপুলে নীল বা আকাশি, মাসাজরুমে মেয়েদের জন্য গোলাপি ও ছেলেদের জন্য ধূসর রঙের তোয়ালে রাখা হয়।’
বাড়িতে সাত ধরনের তোয়ালের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। আবার তোয়ালের বৈচিত্র্য অন্দরের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে। অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন, কাজের ধরন অনুসারে তোয়ালের আকার ও রং নির্বাচন করতে হবে। খাবার ঘরে টেবিলের পাশে যে তোয়ালের রাখা হয় তা ছোট হওয়াই উচিত। এই তোয়ালে হালকা গোলাপি বা আকাশি রঙের হতে পারে। ফ্রিজের হাতলের জন্য সবুজ, নীল বা মেরুন রঙের তোয়ালে ভালো হবে। অন্যদিকে স্নানঘরে যে তোয়ালে ব্যবহার করা হয়, তা হতে পারে হালকা রঙের মধ্যে গাঢ় ছাপার মাঝারি তোয়ালে। ঘর ও কাজ অনুসারে তোয়ালে বাছাই করলে অন্দরের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে।
তোয়ালের যত্নে সাধারণত উদাসীনতা দেখা যায়। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের উপাধ্যক্ষ সনিয়া বেগম জানান, তোয়ালের বুনন হয় পাইল আকারের অর্থাৎ এর সুতা থাকে স্তূপাকারে। অন্য কাপড়ের মতো খুব দ্রুত এটি শুকায় না। ফলে রোদে না শুকালে ছত্রাক পড়ে যেতে পারে।
তোয়ালের যত্নে
■ বাজার থেকে তোয়ালে কিনে প্রথমে গরম পানিতে ধুয়ে আলগা ধুলা, রং ও সিলিকন দূর করে নিতে হবে। ব্যবহারের পর গোসলখানায় তোয়ালে রাখা যাবে না।
■ ওয়াশিং মেশিনে ধুতে চাইলে ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে ট্রাম্বেল ড্রাই করতে হবে। আর সবধরনের জীবাণু দূর করতে ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
■ রঙিন তোয়ালে ধুতে ক্লোরিন ব্লিচ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে রং উঠে যায়। ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়ার পর শেষবার পরিষ্কার পানিতে সামান্য ভিনেগার ব্যবহার করলে বাড়তি সাবান চলে যায়।