কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত রাজধানীর চারটি নামকরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রথমে ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই ৭২ শিক্ষকের তালিকাটি তৈরি করেছে দুদক।
কারণ দর্শানোর ভিত্তিতে ওই শিক্ষকদের বরখাস্ত করা, এমপিও (বেতন বাবদ সরকারি অংশ প্রদান) বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার এই চিঠি দেওয়া হয় বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মাউশির একজন সহকারী পরিচালক।
যেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাতজন এবং রাজউক উত্তরা মডেলের কলেজের পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।
মাউশির সূত্রমতে, প্রথমে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানতে ১০ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে ওই সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং–বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ওই সব শিক্ষককে তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রথমত, এমপিওভুক্ত হলে এমপিও স্থগিত, বাতিল, বেতন কমিয়ে দেওয়া বা বরখাস্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিওবিহীন শিক্ষক হলে প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া বেতন স্থগিত বা চাকরি থেকে বরখাস্তের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা, বেতন স্থগিতের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোচিং–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সরকার ওই সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের।
কয়েক দিন আগেও দুদকের তালিকা অনুযায়ী কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত রাজধানীর ২৫ জন মাধ্যমিক শিক্ষককে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করা হয়।