কুড়িগ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে গভীর রাতে এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এছাড়া সাংবাদিক আরিফুলকে ২৫ হাজার টাকা জামানত রেখে জামিনও দিয়েছেন আদালত।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ১৫ মার্চ রোববার দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদেরকে জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার সিদ্ধান্তের কথা কথা জানান।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ভ্রাম্যমান আদালত কতোটা জরুরি। এতে আমরা তাৎক্ষনিকভাবে অনেক ব্যবস্থা নিতে পারি।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা আরিফুলকে জামিন দেন।
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ শুক্রবার রাত ১২টার পর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আনসার সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিক আরিফুলের বাসায় উপস্থিত হন। জোরপূর্বক ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে মারধর করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে- এমন অভিযোগে ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ে।