কিডনিতে পাথর মানেই অস্ত্রোপচার। তারপর বেশ কয়েক দিনের নানা বিধিনিষেধ মেনে চলা। বর্তমানে যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে লেজার ট্রিটমেন্ট দিয়েও সারানো যায় কিডনি স্টোনের সমস্যা।
তবে এবার কিডনি স্টোন বের করার অভিনব পথ আবিষ্কার করেন এক রোগী নিজেই। মিশিগান স্টেট ইউনিভারসিটির গবেষক-চিকিৎসক ডেভিড ওয়ারটিঙ্গরের চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি হঠাৎই একদিন তাকে বলেন যে, তার কিডনি স্টোনের মধ্যে থেকে একটি পাথর বেরিয়ে এসেছে।
একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্কে ‘বিগ থান্ডার মাউন্টেন’ নামে একটি রাইড চড়ছিলেন তিনি, যখন এই ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে সেই ব্যক্তি ভেবেছিলেন ব্যাপারটি নিছকই আকস্মিক। কিন্তু যতবারই তিনি সেই রাইডে চড়েন, তত বারই একটি একটি করে স্টোন বেরিয়ে আসে।
ঘটনা শুনে চিকিৎসক ডেভিড ওয়ারটিঙ্গর একটি মডেল রেনাল সিস্টেম তৈরি করেন, যার কিডনিতে কয়েকটি স্টোনও রাখেন। এরপর সেই মডেল নিয়ে একের পর এক রাইডে চড়েন তিনি। এবং বেশ কয়েকটি রাইডে চড়ার সময়েই খেয়াল করেন যে মডেলে রাখা স্টোনগুলি বেরিয়ে আসছে।
জানা যায়, সব রাইডের মধ্যে ‘বিগ থান্ডার মাউন্টেন’ রাইডটিই ছিল সব থেকে কার্যকরী। কারণ এতে বসলে শরীরের বিভিন্ন রকম নড়াচড়া হয়। এবং রাইডটি যখন উপর থেকে নীচে নামে, সেই উচ্চতাও অনেকটা।
প্রসঙ্গত, এই থিওরির জন্য গবেষক-চিকিৎসক ডেভিড ওয়ারটিঙ্গরকে প্রদান করা হয় ‘আইজি নোবেল’ পুরস্কার। এমনই নানা ‘উদ্ভট’ আইডিয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয় এই ‘নোবেল’, যা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে।