চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ এখন ঢাকায়। প্রায় ২৩ বছর পর আবারো দেশে এলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর পরিবারের প্রিয় মানুষটিকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন পর তার এই ফিরে আসা উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গীরা।
উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, খল-অভিনেতা আহমেদ শরীফ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, শাহনূর প্রমুখ। এতদিন পর দেশের ফেরার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাইনি। আর কারো ওপর কোনোদিন আমার ক্ষোভ ছিল না। আমার কাছের মানুষগুলো কেমন আছে দেখতে এসেছি। এতদিন পর প্রিয়মুখগুলোকে চোখের সামনে দেখে ভালো লাগছে।’
গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন অঞ্জু ঘোষ। গতকাল বিকেলে এফডিসিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে তিনি দেশের বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থা নিয়ে আরো বলেন, ‘এখন মানুষ চলচ্চিত্রের চেয়ে সিরিয়াল বেশি দেখেন। সিনেমা এখন সবার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। খারাপ লাগে ছবির মানুষগুলো দূরে সরে গেছে। আমাদের সময় সিনেমাকেই ঘর-সংসার মনে হতো। একটা সময় ছিল শুটিংস্পটই সব ছিল।’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একটি সুখবরও জানা যায়। ‘বেদের মেয়ে জোছনা’র সেই আলোচিত জুটি অঞ্জু ঘোষ ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে আবারো দেখা যাবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে। ‘জোসনা কেন বনবাসে’ শিরোনামের চলচ্চিত্রে আবারো দেখা যেতে পারে তাদের।
অনুষ্ঠানের প্রযোজক নাদের খান ছবিটি প্রযোজনা করতে চান। এ প্রসঙ্গে অঞ্জু ঘোষ বলেন, ‘অনেক বাঁধা পেরুতে হয়েছে দেশে আসতে। সবকিছু পেরিয়ে প্রিয় মানুষগুলোকে দেখতে এসেছি। তাই মন খারাপের কথাগুলো বলতে চাই না।’ তবে তার এই কথায় কোনো উত্তর খুঁজে না পেয়ে আবারো প্রশ্ন করা হয়। এরপর বিষয়টি পরিষ্কার করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অঞ্জু আসলে কী বলতে চাইছেন সেটা আমি একটু ক্লিয়ার করি। আসলে সিনেমা করতে তো আমাদের কারোরই আপত্তি নেই। আমরা তো সিনেমারই মানুষ।
তিনি যেটা বলতে চাইছেন, সেটা হয়তো বুঝতে পারছেন না আপনারা। তিনি বলেছেন, তার আসা-যাওয়ার বিষয়ে খানিক জটিলতা আছে। সেসব সমস্যা যদি না থাকে, ছবির গল্প যদি পছন্দ হয় তাহলে এই সিনেমায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ দীর্ঘদিন পর বন্ধুকে পেয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বেদের মেয়ে অঞ্জুকে আজ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় রাখলাম। বেশ ভালো লাগছে অঞ্জুর সাথে দেখা হয়ে। পেছনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’