করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনা পরিস্থিতির শুরুতে প্রথম দফায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দফার মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকলেও পরে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়কাল।
২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কিছু ক্লাস অনলাইনে চালানোর ব্যবস্থা করে শিক্ষা বিভাগ।
তবে গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: শিক্ষার্থী ভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি, সন্তানসম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।
এরপর এখন নতুন করে ৬ আগষ্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।