করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১১ মার্চ বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ৪ হাজার ৩৩৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৬৪ জন।
৬৬ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১১৯টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু চীনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের।
চীনের বাইরে ৩৩ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।
ইরানে ৯ হাজার, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৭৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। অপরদিকে ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জন হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এছাড়া আগের যে তিনজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) তাদের পুনঃপরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তারা এখন সুস্থ। শিগগিরই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসমাবেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ১৭ মার্চ মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে।