হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস ‘করোনা ভাইরাসে’ চীনের কয়েকটি শহরে ইতোমেধ্যে ৮০ জনেরও বেশি মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরো তিন হাজার মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কোনো কোনো দেশ চীন থেকে কোনো যাত্রীকে তাদের দেশে যেতে দিচ্ছে না। কোথাও আবার বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে মেডিকেল বুথ। চীন থেকে আসা সব যাত্রীকে সেখানে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ পরীক্ষা করে তবেই দেশের অভ্যন্তরে যেতে দেয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস কী?
করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। গবেষকরা বলছেন, কোনো প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ:
এই ভাইরাস রোগীদের শরীরে নিউমোনিয়া তৈরি করছে। এর অন্যান্য উপসর্গও রয়েছে। ফলে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা চরম সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
কতটা ভয়াবহ এই সংক্রমণ?
প্রথমে জ্বরের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে সমস্যার কথা হলো আক্রান্ত হবার প্রথম ৫ দিনের মধ্যে এই ভাইরাস সনাক্ত করা যায় না।
বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়:
নতুন আবিষ্কৃত হওয়ায় এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
এই রোগ থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অন্যদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে না দেওয়া।
যা যা করা উচিত:
১. লোকজনের চলাচল সীমিত করে দেওয়া।
২. সবাইকে হাত ধুতে উৎসাহিত করা।
৩. স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়ে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে।
৫. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিংবা সংক্রমণ স্থলে গেলে প্রয়োজনমতো সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৬. ভ্রমণকালীন সময়ে জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে।
৭. হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রেখে কাশি দিতে হবে ও পরে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৮. যেখানে সেখানে কফ ফেলা যাবে না।