টাকা নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাইছেন তিনি। এ কারণে বাংলাদেশের কোচের লোভনীয় অঙ্কের বেতনও ছেড়ে দিচ্ছেন। শ্রীলঙ্কায় তুলনামূলক অনেক কম বেতনেও কাজ করতে রাজি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা জানিয়েছেন এই তথ্য।
২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই বাংলাদেশের কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন হাথুরু। বিসিবি স্বীকার করেছে এই খবর। তবে সরে যাওয়ার কোনো কারণ বিসিবিকে জানাননি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম এই কোচ।
হাথুরুর সফলতাকে বেতন-ভাতা দিয়ে যথেষ্ট সম্মানিতও করেছিল বিসিবি। বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ক্রিকেট কোচ তিনি। আর্থিক সংকটে ভোগা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডেরও সাধ্য নেই তাঁর বর্তমান বেতন দেওয়ার। তবে হাথুরু নাকি দেশটির বোর্ডকে আভাস দিয়েছেন, টাকার জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন না।
কলম্বোয় সাংবাদিকদের ক্রীড়ামন্ত্রী জয়াসেকারা বলেছেন, ‘তিনি বলেছেন, এখানে তিনি অনেক বেশি বেতন প্রত্যাশা করছেন না। বরং দেশের জন্য তিনি কিছু করতে চান। উনি যে অনেক বড় অঙ্কের বেতন ছেড়ে এখানে আসছেন, এ জন্য আমরা তাঁকে সম্মান জানাই।’
এই সম্মান ব্যাপারটাই হয়তো হাথুরুর জন্য বেশি প্রযোজ্য। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট থেকে তাঁর বিদায়টা যে সম্মানজনক ছিল না। তখনকার বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই রাজ্য দলের হয়ে তাঁর সাফল্য নজর কেড়েছিল। এ কারণেই বিসিবি কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছিল হাথুরুকে। যদিও এর আগে কখনোই কোনো জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেননি তিনি।
বড় দুঃসময়ে বাংলাদেশের হাল ধরে দলটার চেহারাই বদলে দিয়েছিলেন। এমনকি সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে টেস্টেও জিতিয়েছেন। তখনই আভাস দিয়েছিলেন, অতীত অভিমান ভুলে আবার কখনো সম্ভব হলে নিজ দেশের জন্য কিছু করতে চান।
এবার নিজের দেশ তাঁকে দুহাতে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। জয়াসেকারা বলেছেন, ‘আমরা তাঁকে সম্মান আর ভালোবাসার সঙ্গে বরণ করে নেব। আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সাহস দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে আমরা প্রস্তুত।’