‘গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারবো না?’- এমন একটি মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার কৃষি গবেষণায় অবদান রাখা দুই ব্যক্তিকে পুরস্কার দেবার সময় তিনি এ কথা বলেন।
কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায়না কোনো মতে?’
মন্ত্রীর এ বক্তব্যে অনেকেই কৌতুকপ্রদ মন্তব্য করেছেন। কেউ আবার ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
আসুন এবার আমরা জেনে নিই কচুরিপানা সম্পর্কে সাধারণ কিছু তথ্য।
কচুরিপানা সারা বিশ্বেই একটি দ্রুত বর্ধনশীল জলজ উদ্ভিদ। এটি যে কোনো জলাধারে খুব দ্রুত বংশবিস্তারের মাধ্যমে সবুজ আস্তরন তৈরি করতে পারে।
কোনো কোনো জলাশয়ে কচুরিপানা এতোই ঘন হয়ে বেড়ে ওঠে। এর ওপর দিয়ে মানুষও হেঁটে যেতে পারে।
কোনো জলাশয়ে কচুরিপানার পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে তা পানিতে অক্সিজেন চলাচলে বাধা তৈরি করে। যা মাছের প্রাণহানির কারণ হয়।
একটি কচুরিপানার গাছকে টুকরো টুকরো করে কাটলেও সেটি মরে না। বরং সেইসব টুকরো থেকে নতুন গাছের জন্ম হয়। তাছাড়া কচুরিপানায় বছরব্যাপী হাজার হাজার বীজও উৎপন্ন হয়।
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার ৫০টির ও বেশি দেশে কচুরিপানাকে ক্ষতিকর দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে স্যুপের মধ্যে কচুরিপানার ডাঁটা ও পাতা দেয়া হয়। মাছের সাথে কচুরিপানা রান্না হয়।
শুকনো কচুরিপানা দিয়ে ব্যাগ, ফুলের টব, ফুলদানি, স্যান্ডেলসহ নানা রকম ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করা যায়।