কক্সবাজারে যুবলীগ নেতা হত্যার জেরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভাংচুর ও আগুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয়দের জ্বালিয়ে দেওয়া আগুন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে হত্যার ঘটনায় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় সেখানে তারা ভাংচুরও চালায়।

নিহত ওমর ফারুক জাদিমুরা এলাকার মোনাফ কোম্পানির ছেলে। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। 

ওমর ফারুককে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

এরপর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জাদিমুরা বাজারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে।

বিক্ষোভের মধ্যেই তারা কয়েক দফা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন এনজিও-র সাইনবোর্ড, ক্যাম্পের ঘরবাড়ি ও একটি রোহিঙ্গা দোকানে ভাংচুর চালায়। ২৭ নম্বর ক্যাম্পে সেইভ দ্য চিলড্রেনের একটি কার্যালয়ও ভাংচুরের শিকার হয়।

বেলা ১টার দিকে শিশু-কিশোরসহ উঠতি বয়সীদের একটি দলকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে যেতে দেখা যায়। 

ক্যাম্পের ভেতরে ভাংচুর না করলেও বিভিন্ন এনজিওর সাইনবোর্ড ও স্থাপনায় লাঠি চালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের।

বেলা ১টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবকের বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এক পর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলিতে হত্যা করা হয়।

খবর পেয়ে ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার মরদেহ আনতেও বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় জনতা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। অবরোধে শত শতযানবাহন আটকা পড়ে। 

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জানান, আমরা এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ মাগরিবের নামাজের পর দাফন করা হবে।

শেয়ার করুন