বিমানের মধ্যে মশার কামড় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে যাত্রীরা। এদিকে ভুক্তভোগী যাত্রীদের সহযোগিতা না করায় জরিমানার করা হয়েছে ভারতীয় বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিগোকে। তিন যাত্রীকে সবমিলিয়ে ১.৩৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে ইন্ডিগোকে। আইনজীবীর নোটিসেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এ টাকার অঙ্ক।
আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারী তিন যাত্রীকে পৃথকভাবে ৪০ হাজার টাকা করে দেবে বিমান সংস্থা। সেই সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ার খরচ হিসেবে ১৫ হাজার টাকাও জমা করবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি বিমানবন্দরে।
জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমানে চড়ে অমৃতসর যাচ্ছিলেন অনুপ শর্মা, রচনা অরোরা, সুখনদীপ সিং ও উপদীপ সিং। এংরা বিমানে ওঠার সঙ্গেসঙ্গেই দেখেন আসনের চারপাশে মশা ভনভন করছে। তখনও রানওয়েতে দাঁড়িয়ে বিমান। মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে ওই যাত্রীরা বিমানসেবিকাদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ, মশার উপস্থিতির কথা শুনেও খুব একটা কান দেননি তারা। পাল্টা দাবি করেন, রানওয়েতে মশাকে আটকানো সম্ভব নয়। তখন যাত্রীরা সাময়িক স্বস্তির জন্য মশা নিধনের ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে বিমানকর্মীদের বক্তব্য ছিল, ফ্লাইট ছাড়ার সময় হয়েছে। এই মুহূর্তে মশা নিধনের ব্যবস্থা করা অসম্ভব।
মশার কামড় সহ্য করে সে যাত্রায় অমৃতসরে অবতরণ করলেও বিমান সংস্থাকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা কথা ভাবেন ওই চার যাত্রী। অমৃতসরেই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই মামলায় শাস্তির মুখে পড়ে ওই বিমান সংস্থা। এদিকে অভিযোগকারী চারজনকে সমর্থন করেছেন সেই ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরাও। তাতেই নিজেদের সপক্ষে যুক্তি সাজাতে না পেরে বেশ বিপাকে ইন্ডিগো। খুব শিগগির কড়ায় গণ্ডায় যাত্রীদের হিসেব চুকিয়ে দিতে হবে। তবে অভিযোগের ভাগীদার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। কেননা টিকিট ভাড়ার মধ্যে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার খরচ যাত্রীদের পকেট থেকেই নেওয়া হয়।