এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘুষ লেনদেন হয় ভারত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার- এশিয়া ২০২০’’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘুষ লেনদেনে ভারতের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে কম্বোডিয়া। এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এশিয়ার ১৭টি দেশের ২০ হাজার মানুষকে নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়ে ওই প্রতিবেদন করে টিআই। ভারতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া দেশটির ৩৯ শতাংশ মানুষ। এশিয়ার সর্বোচ্চ ঘুষের হার এটি, যা চীনে ২৮ শতাংশ, বাংলাদেশে ২৪, নেপালে ১২ ও জাপানে ২ শতাংশ।
জনগণকে পুলিশ, আদালত, সরকারি হাসপাতাল, পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং বিদ্যুৎ, পানির মতো পরিষেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় জরিপে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ (৪২ শতাংশ) মানুষ বলেছেন, পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে। ৪১ শতাংশ মানুষকে পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য সরকারি কাগজপত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।
সমীক্ষায় উঠে আসে, ভারতের কোনো সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য ওপর মহলে যোগাযোগ করেন ৪৬ শতাংশ মানুষ। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ মনে করেন, উঁচু জায়গায় যোগাযোগ না করলে তারা পরিষেবা পেতেন না।
গত ১২ মাসে (করোনাকালসহ) ভারতে দুর্নীতি বেড়েছে দেশটির ৪৭ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন। সেইসঙ্গে ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দুর্নীতি রুখতে সরকার ভালো কাজ করছে।
ভোটের মাঠেও ঘুষের লেনদেন হয় ভারতে। দেশটিতে এ হার ১৮ শতাংশ, অবস্থান চতুর্থ। ২৮ শতাংশ হার নিয়ে এ ক্ষেত্রে শীর্ষে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন।
জরিপে এই প্রথমবার সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবা দিতে যৌনতা চাওয়ার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতে হার ১১ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় ১৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১৭ ও থাইল্যান্ডে ১৫ শতাংশ।