আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকে মহাজোটের কাছে ১০০ আসন দাবি করছিল জাতীয় পার্টি। সম্প্রতি ছোট একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। এ তালিকায় কমপক্ষে ৬০টি আসন মহাজোটগতভাবে চান এইচ এম এরশাদ। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৪৫ আসনের বেশি নিশ্চয়তা পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদও অনড়। ৬০ আসনই তার চাই। এ নিয়ে শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ-জাপা দরকষাকষি চলছে। সূত্র জানায়, প্রতিনিয়ত তালিকায় নাম যুক্ত হচ্ছে আবার বাদ যাচ্ছে। এ তালিকাও চূড়ান্ত নয়। প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। আওয়ামী লীগের জোটগত ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত নাম যোগ হওয়া ও বাদ দেওয়া চলবে।
এখন পর্যন্ত আসন তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন— ঢাকা-১ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ মীর আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১৩ সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নরসিংদী-৪ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-১ এইচ এম এরশাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-২ মো. নোমান মিয়া, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ এম এ সাত্তার, চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ ছওম আবদুস সামাদ (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১২ এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), কক্সবাজার-৩ সন্তোষ শর্মা, নোয়াখালী-১ আলহাজ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী মহাজোট), ফেনী-৩ লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৪ অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৮ নূরুল ইসলাম মিলন, চাঁদপুর-৫ মাওলানা মো. আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী মহাজোট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল (ইসলামী ফ্রন্ট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশিদ। রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-২ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ ডা. আক্কাস আলী, লালমনিরহাট-১ মেজর (অব.) খালেদ আখতার, লালমনিরহাট-২ রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-৪ মো. শওকত চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার। রাজশাহী-৩ শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, জয়পুরহাট-২ কাজী আবুল কাশেম রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. হাফিজ উদ্দিন, দিনাজপুর-৬ মো. দেলোয়ার হোসেন। সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৪ এ টি ইউ তাজ রহমান, সিলেট-৫ মো. সেলিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, হবিগঞ্জ-১ আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান আতিক। বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। বরগুনা-২ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মিজানুর রহমান, খুলনা-১ সুনীল শুভ রায়, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই মহাজোটগত প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সম্মানজনক আসন দেবেন।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন