এক নজরে পার্বত্যবীর বীর বাহাদুর উশৈসিং

সৌজন্য ছবি।

বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পিতা লালমোহন বাহাদুর। ১৯৬০ সালের ১০ জানুয়ারি বান্দরবান জেলা সদরের এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শহরের আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ শেষে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাশ করেন।

এসএসসি পাশ করার পর তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে বান্দরবান সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

১৯৮৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৭৯ সালে স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য র্নিবাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাহাড়ের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে শুরু করেন।

১৯৯১ সালে প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য র্নিবাচতি হন। এর পর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। পরবর্তীতে দেশের প্রতিটি সংসদ র্নিবাচনেই জয়লাভ করে প্রমান করেন তিনিই পাহাড়ের উন্নয়নের কান্ডারী।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির সংলাপ কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে পালন করেন ঐতিহাসিক দায়িত্ব। শুধু রাজনীতিতেই নয় বীর বাহাদুর একনাগাড়ে নিজেকে প্রমান করেছেন ক্রীড়া ক্ষেত্রেও।

স্কুল জীবন থেকেই ফুটবলের প্রতি দারুন নেশা ছিল বীর বাহাদুরের। প্রথমে ফুটবলার হিসেবে জনপ্রিয় থাকলেও পরে মুখে তুলে নেন রেফারীর বাঁশি।

১৯৯৭ সালে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কোয়ালিফাই রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্যে মালয়েশিয়া সফর করেন এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে পালন করেন গুরুত্বর্পূণ দায়িত্ব। একই সাথে পালন করেন বাংলাদেশ ফুটবল রেফারী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও।

একই সময় তিনি বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও উপমন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসেও তিনি বাংলাদেশ দলের চিফ দ্য মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের হুইপ নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ তিনি ২০১৪ সালের র্নিবাচনেও জয়লাভ করে সংসদ সদস্য র্নিবাচিত হন। এ সময় তিনি র্পাবত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।

র্দীঘ এ রাজনৈতিক জীবনে বীর বাহাদুর নিজেকে প্রমান করেন অনন্য এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে। পুরো র্পাবত্য জেলার মাটিও মানুষের এক পরম বন্ধু হিসেবে তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা লাভ করেন।

একে একে তিনি পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনপদে পর্যটন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, চিকিৎসা যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে রাখেন গুরুত্বর্পূন ভূমিকা।

অন্ধকার জনপদ থানচিসহ বিভিন্ন দূর্গমে পৌছে দেন বিদ্যুত সংযোগ। দুর্গম পাহাড়ে আধুনিক যোগাযোগ স্থাপন করে পাহাড়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে আনেন গতি।

স্থানীয় রাজনীতিতেও মহান এই নেতার অসাধারণ দুরদর্শিতা, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে বান্দরবান ইতোমধ্যেই সারাদেশে সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পার্বত্য এলাকার গণমানুষের উন্নয়নে তাঁর এই অবদান আজীবন অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা করে এখানকার মানুষ।

শেয়ার করুন