সেলফির কারণে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে দ্রুত ছড়াচ্ছে উকুন! এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় সবচেয়ে বেশি উকুন থাকে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
‘লুসফ্রি নরজ’ পরজীবীর বিস্তার রোধ করতে কাজ করে যাওয়া সংস্থাটি মাথায় বা চুলে উকুনের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধির এ কারণ তুলে ধরে। সংস্থাটির গবেষক অ্যান লুইস লাইকফস জানান, এক জনের মাথা থেকে আরেক জনের মাথায় উকুন ছড়িয়ে পরে। তবে মানুষ যখন একে অপরকে আলিঙ্গন করে, সেলফি তুলে, এক সঙ্গে কম্পিউটার ব্যবহার করে, এক সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তখন উকুন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে মানুষ সেলফি (মোবাইল ফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলা) তুলার প্রতি আসক্ত। এতে করে দু’জন বা কয়েকজন মিলে এক সঙ্গে ছবি তুলে। এর ফলে এক জনের মাথায় থাকা উকুন আরেক জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, ছেলে-মেয়েরা যখন এক সঙ্গে বসে গেম খেলে তখন উকুন এক জনের মাথা থেকে আরেক জনের মাথায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।
অ্যান লুইস লাইকফস জানান, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় সবচেয়ে বেশি উকুন থাকে। তিনি বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় লম্বা চুল থাকে। এই জন্য উকুন অতি সহজে লুকিয়ে থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আশে পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যান লুইস লাইকফস জানান, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় সবচেয়ে বেশি উকুন থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় লম্বা চুল থাকে। এই জন্য উকুন অতি সহজে লুকিয়ে থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আশে পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।