ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে এসেছে আসামের মানুষ।
বুধবার রাতে ভারতের রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। দুইদিন আগে লোকসভায় পাস হওয়ার পর থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও অরুণাচলের মানুষ।
মঙ্গলবার ছাত্রদের নেতৃত্বে বহু মানুষ রাস্তায় মিছিল করতে থাকে। অনেক জায়গায় উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে তাদের।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে একাধিক জায়গায় সেনা নজরদারি জোরদার করা হয়। আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে জারি করা হয় কারফিউ।
সেই সঙ্গে ১০ জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে। বিপর্যস্ত সড়ক ও রেল পরিষেবা। অবরোধের জেরে অন্তত ১০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বিক্ষোভ থামাতে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও টুইটারে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপরেও বিক্ষোভ থামানো গেল না আসামে। বরং কারফিউ ভেঙে গুয়াহাটির রাস্তায় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি (সিএবি) সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাস হয়। এর দুদিন পরই বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। এখন শুধু রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে সিএবি।
ওই বিলে কেন শুধু অ-মুসলিমদের (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ) সুবিধা দেওয়া হলো, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা।
তাদের অভিযোগ, মুসলিমদের সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।
এর ফলে আরও মসৃণ হবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে থেকে তারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে বাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।