আগামী মার্চ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে আবার চাল বিক্রি চালু করবে সরকার। অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা করে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দরকার হবে।
আজ বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুত আছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং বাকিটা গম।
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল—এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় একটি স্লোগান ঠিক করা হয়। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’।
কিন্তু ওই বছর সারা দেশে ওই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধনীরা ওই কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন ও দরিদ্ররা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে তালিকা সংশোধন করে কর্মসূচিটি চালু হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি গুদামে চাল সংকটের কারণে কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়। সরকারি গুদামে চালের পরিমাণ ১০ লাখ টন অতিক্রম করার পর আবারও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ওই কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব শাহবুদ্দিন আহমদ বলেন, সবার সহযোগিতায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে অর্জন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা।