পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সনদে ও দাপ্তরিক কাজে উপজাতীয় বাসিন্দাদের আদিবাসী আখ্যা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর পরিবর্তে সংবিধানে উল্লিখিত ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃগোষ্ঠী’ ও ‘সম্প্রদায়’ হিসেবে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সার্কুলারে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য সার্কেল চিফকে এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক কালের কন্ঠের অনলাইন সংস্করণে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ তাঁর ব্যবহৃত স্থায়ী নাগরিক সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের ‘আদিবাসী’ বলে উল্লেখ করতে শুরু করেছিলেন। এ বিষয়ে চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা শান্তিচুক্তির ‘খ’ খণ্ডের ১ নম্বর ধারার পরিষদের আইনে ‘উপজাতি’ শব্দটি বলবৎ থাকবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২৩ তারিখে জারি করা কোনো সার্কুলার তাঁরা এখনো পাননি। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের ‘আদিবাসী’ উল্লেখ না করে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ উল্লেখ করার আইন আগে থেকেই বলবৎ রয়েছে।
এই আদেশের প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম। গণমাধ্যমগুলোর কাছে পাঠানো বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘আদিবাসী’ পরিচিতিতে নিষেধাজ্ঞা জাতিসত্তাসমূহের স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।