আজ ১৭ নভেম্বর আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তেভাগা ও ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ আন্দোলন ও শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি এবং বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নির্ভীক অবস্থানের কারণে তিনি মজলুম জননেতা হিসেবে আখ্যা পান। সাংগঠনিক রাজনীতিতে তিনি কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আজ সকালে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ভাসানী স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনের তিন তলায় অনুষ্ঠিত হবে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা। এছাড়া ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর। তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল— ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।