আজ ৭ নভেম্বর, ঘটনাবহুল ও আলোচিত দিন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক নামে দিনটি পালন করে। বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। জাসদ পালন করে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে। আর প্রগতিশীল দল ও সংগঠনগুলোর অনেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিভিন্ন দল ও সংগঠন পৃথক কর্মসূচি নিয়েছে। এ উপলক্ষে ১১ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এর আগে ৮ নভেম্বর সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন (সিপিএ) হচ্ছে। এতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা ১১ নভেম্বর শনিবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি এখনো পাইনি। তবে আশাবাদী অনুমতি পাব।’
বিএনপির সূত্র জানায়, সিপিএ সম্মেলনের কারণে এবার ৭ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো ও ফাতিহা পাঠের কর্মসূচি রাখা হয়নি। দলের মহাসচিবও যাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে এ কর্মসূচি পরে পালন করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জাসদের একাংশ আজ বিকেল চারটায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে। এতে জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অংশ নেবেন। খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম স্মৃতি পরিষদ ‘মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। একই সময়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও জয় বাংলা মঞ্চ নামের দুটি সংগঠন যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। এর আড়াই মাস পর ৩ নভেম্বর শুরু হয় সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা। এসব ঘটনার একপর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দী হন। ৭ নভেম্বর অপর এক অভ্যুত্থানে তিনি মুক্ত হন।
কৃতজ্ঞতা-দৈনিক প্রথম আলো