অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখার সাবেক উপ-হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা শামসুদ্দিন আহাম্মেদ চৌধুরীকে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন আব্দুল হান্নান চৌধুরীর শ্যালক মোকাদ্দেস আলী খাদেম ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সৈয়দ আহাম্মেদ খন্দকার। রায়ে বলা হয়, আসামি শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রতারণার অপরাধে ৪২০ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১৯৯০ সালের বিভিন্ন তারিখে ভুয়া জমাদানের মাধ্যমে প্রতারণা করে এক লাখ ৬১ হাজার টাকা, ১৯৯১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ও ২৬ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ব্যাংক থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে আসামিরা মোট তিন লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এই ঘটনায় রমনা থানায় ওই ব্যাংকের এজিএম শফিউদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ২১ মে রমনা থানা-পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৩ সালের ১ মার্চ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। পরে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়।