- পাঁচজনের মধ্যে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে।
- কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান শুরু থেকেই পলাতক।
- কাজী সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদ জেলে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় মোট আসামি ছয়জন। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি হলেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান, বিএনপির মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক ওরফে কাজী কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
এই পাঁচজনের মধ্যে তারেক রহমান জামিন ও চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে যান। এখন পর্যন্ত তিনি ফিরে আসেননি। তাই আদালত তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান শুরু থেকেই পলাতক। কাজী সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার ছিলেন। গতকাল রায় ঘোষণার পর তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় এই পাঁচজনকেই খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সহযোগী (অ্যাবেটর) হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল থেকে যাওয়া টাকা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাংকে, ব্যক্তিবিশেষের নামে এফডিআর করে আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযুক্ত হন। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাঁদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচজন মিলে সর্বমোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ বা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই পরিমাণ টাকাই জরিমানা হিসেবে আদায়ের রায় দেওয়া হয়েছে।