অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়তে সব জাতিসত্তাকে স্বীকৃতি দিতে হবে: বান্দরবানে আদিবাসী দিবসে বক্তারা

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বান্দরবানে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। ছবি: উসিথোয়াই মারমা

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বান্দরবানে আয়োজিত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা বলেছেন, “সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে হলে সকল ধর্ম, জাতি ও বর্ণের মানুষকে স্বীকৃতি দিতে হবে।”

৯ আগস্ট শনিবার শহরের রাজার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান কিংবা ২৪ জুলাইয়ের গণআন্দোলন—সব আন্দোলনেই সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগণের রক্ত ঝরেছে। অথচ তাদের স্বীকৃতি এখনও প্রশ্নবিদ্ধ।”

তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রধর্ম থাকা অবস্থায় বহুত্ববাদ সম্ভব নয়। স্বাধীন দেশে এখনও ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

আলোচনায় দৈনিক আমাদের সময় সম্পাদক এহসান মাহমুদ বলেন, “আদিবাসীদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান থাকলেও রাষ্ট্রযন্ত্রে তারা এখনো বৈষম্যের শিকার।” বম জনগোষ্ঠীর কয়েকজনের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না থাকলেও জনতার রায়ে তারা আজও আদিবাসী।”

আলোচনায় আরও অংশ নেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইংচপ্রু মাস্টার, রাখাইন প্রতিনিধি ডমা এ রাখাইন, বম অ্যাসোসিয়েশনের জেমস বম, এবং আদিবাসী ফোরামের দীপায়ন খীসা। সভাপতিত্ব করেন লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ডা. মংউষাথোয়াই মারমা।

আলোচনা শেষে শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।

শেয়ার করুন