বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়ার আযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের ৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আযান নিয়ে একজন দায়িত্বশীল নেতার এমন ক্ষোভ প্রকাশে অনেকেই দলীয় নীতি-আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের সময়ে কেউ একজন ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। লাইভ ভিডিও থেকে অংশ বিশেষ (৪ মিনিট ৯ সেকেন্ড) ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিও সূত্রে জানা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ২৫ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যসহ এলাকায় নেতৃত্বদানকারী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনহার মিয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে মাইকে বক্তৃতাকালে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর বাজার (নয়া বাজার) মসজিদ থেকে আযানের সুর ভেসে আসে। সঞ্চালক আযান হওয়ার বিষয়টি কানে-কানে আনহার মিয়াকে বলার পর তিনি বক্তব্যের বিরতি দিয়ে সঞ্চালককে মাইক বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরে তিনি চেয়ারে বসে উত্তেজিত হয়ে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “ইতা আদিলকিলানি, কোনোখানো মিটিং-মাটিং দেখলে ওউ আযান দেওয়ার লাগি তারা দেওয়ানা অইযায়, কেনে দুই মিনিট আগে আযান দিলো, ইমামকে ডাকো”।
আযানের বিরতির পর বক্তব্যে তিনি বলেন, “মুসলমান হিসেবে আযান মানতে হবে কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে-কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে মধ্যে আযান দেয়া মানেই অনুষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করে।”
বোয়ালজুর ইউপি সদস্য আফজাল হোসেনসহ সভাস্থলে উপস্থিত একাধিক ইউপি সদস্য ও লোকজন জানান, আযান দেয়া নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব রাগ করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আনাহার মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে একাধিক নাম্বার থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোয়ালজুর ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে উঠার বিষয়টি আমি শুনেছি।