জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়া যেসব বেসামরিক বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তাদের তালিকা আগামী ১৯ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করা হবে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং মহানগর পর্যায়ে ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এই যাচাই-বাছাই করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট আগামী ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ যাচাই-বাছাই করা হবে।’
গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার ৭১তম সভায় এ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও জানানো হয়েছে।
যাচাইয়ের আওতাভুক্ত তালিকা, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বেসামরিক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমপক্ষে ৩জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে, তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তা ৩জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর সহমুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’