সারা দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত্রতত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল গজিয়ে উঠছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের ওপর তাগিদ দেন।
১৪ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় এবার প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতার একাংশ পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে যত্রতত্র অনলাইন নিউজপোর্টাল গজিয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অনলাইন পত্রিকা চলতে পারে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বচ্ছল ও উচ্চ আয়ের মানুষকে বেশি সুবিধা দেয়া হয়েছে। কিছু সংস্থার পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ খুশি কি না, তারা লাভবান হচ্ছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। আজকে আমাদের এগারোতম বাজেট। এটা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এর সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা এবং স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য। আগে বিশ্ব দরবারে ভিক্ষুকের জাত বলতো, এখন আর কেউ এটা বলতে পারে না। এটাই বড় অর্জন। এমন অর্জন সত্ত্বেও সমালোচনা। আসলে ‘ভালো না লাগা পার্টি’র কিছুই ভালো লাগে না। যারা সমালোচনা করে, করে যাক। ভালো কিছু বললে গ্রহণ করবো, মন্দ কিছু বললে ধর্তব্যে নেবো না।
বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম যেন উন্নত হয়, সেখানকার মানুষ যেন শহরের মানুষের সুবিধা পায়, সেজন্য আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচির আলোকে পল্লী এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশজুড়ে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নতুন সড়ক এবং ৩০ হাজার ৫০০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সেজন্য এখাতে আগামী অর্থবছরে ৬৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশের বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।