প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল বের করছে প্রতারকরা। ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকার মালামাল। এদিকে প্রতারণার কৌশল বুঝে ওঠার আগেই ধরা খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কখনও তিনি প্রবাসী ব্যবসায়ী, যার সৌখিন স্ত্রীর জন্য দরকার লাখ টাকার পোষা পাখি। কখনও অন্য কোনো পরিচয়ে অর্ধলক্ষ টাকার মাছ বা লাখ টাকার শিশুখাদ্য ক্রেতা। অনলাইনে অর্ডার করে টাকা না দিয়ে রাস্তা থেকে পণ্য নিয়েই চম্পট। মামুন নামে এমন প্রতারক এক গ্রাহককে গ্রেফতার করার পর বেরিয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মামুনকে ধরতে রবিবার সকালে কাকরাইল উইলস লিটিল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে ফাঁদ পাতে প্রতারণার শিকার একদল অনলাইন ব্যবসায়ী এবং পুলিশ। বিচারপতি পরিচয়ে এক লাখ টাকার বেশি শিশুখাদ্য অর্ডার করেছিলেন মামুন।
তবে এক সপ্তাহ আগে মামুনের পিছু নেয় পুলিশ। সেবার অভিনব কায়দায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে চম্পট দেন তিনি।
এদিকে মামুনের ধরা পড়ার খবরে থানায় ছুটে আসেন প্রতারণার শিকার অনেক অনলাইন ব্যবসায়ী। একজন জানান, প্রবাসী ব্যবসায়ী পরিচয়ে বছর খানেক আগে লাখ টাকার পাখি নিয়ে উধাও হয়ে যান মামুন।
পুলিশ হেফাজতে এমন অভিনব প্রতারণার কথা স্বীকার করে মামুন জানান, হাতিয়ে নেয়া পণ্য কম দামে বিভিন্ন দোকানে বেঁচে দেন তিনি।
পুলিশ বলছে, মামুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলাদা আলাদা মামলা করার কথাও জানিয়েছেন রমনা মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।