এক সপ্তাহের মধ্যে একই পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করায় আড়ং-এর উত্তরা শাখাকে জরিমানা করা সেই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তার নাম মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক পদে দায়িত্বে ছিলেন।
৩ জুন সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কর্মকর্তাকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খুলনা জোনে এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
তাঁকে আগামী ১৩ জুন এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সেই তারিখ অপরাহ্নে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হয়েছেন বলে গণ্য করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
আড়ং-এর উত্তরা শাখায় ২৫ মে যে পাঞ্জাবী ৭৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো, সেই একই পাঞ্জাবী ৩১ মে ১ হাজার ৩১৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এক নারী ক্রেতা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ জুন সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়। এরপর আড়ংকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অবশ্য, আড়ংয়ের চীফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, ম্যাজিষ্ট্রেট আসার পর আমরা যাচাই করে দেখতে পাই, পাঞ্জাবীটির গায়ে ভুল ট্যাগ লাগানো হয়েছে। ভুলে কোনো পণ্যের মূল্য বেশি নেয়া হলে আমাদের ক্রেতারা যে কোনো সময় অর্থ ফেরত নিতে পারেন।
পৃথক আরেক অভিযানে ভাসাভি ফ্যাশন হাউজের গুলশান শো-রুমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে। তারা ৮৫ হাজার টাকা দামের একটি লেহেঙ্গার সঠিক আমদানি রসিদ দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তারা স্টিকারবিহীন বিদেশি প্রসাধন সামগ্রীও বিক্রি করছিলো বলে জানান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এসব অভিযানের ২৪ ঘন্টা পার না হতেই এই কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হলো।