পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা দীর্ঘদিনের। ভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষগুলোর গাফেলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ফলে এ সমস্যা দিনের পর দিন আরো প্রকট হচ্ছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষগুলোর সমন্বয়হীনতা দায়ী বলে মনে করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা। ভূমি সমস্যা বিষয়ে সম্প্রতি তিনি দৈনিক কালের কন্ঠে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সাক্ষাতকারটি দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতি পূর্ণকৃতজ্ঞতা জানিয়ে খোলাচোখ ডটকমের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো ঃ
ভূমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পিত হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন ভূমি রক্ষা ও বেদখলমুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। তিনি বলেন, ‘এই জেলায় সার্কেল চিফ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং হেডম্যানসহ আরো কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভূমি বন্দোবস্তি ও খাজনা আদায় প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। এর ফলে সুযোগ সন্ধানীরা কোনো একটি পক্ষকে হাত করতে পারলেই মালিকানা বা দখলে রাখার পক্ষে প্রতিবেদন বা কাগজপত্র তৈরি করে নিতে পারছে। এ অবস্থায় বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি ভূমি পুনরুদ্ধার করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।’
আলীকদম উপজেলার দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমি বেদখল হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আলীকদম সরকারি হাসপাতালের ভূমি দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত একটি সভায় সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভরিরমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলের মালিকানাধীন জমিগুলো দখল হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
ক্যশৈহ্লা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জেলা পরিষদে ন্যস্ত হলেও ভূমি পুনরুদ্ধারে আমরা এককভাবে কাজ করতে পারছি না। তবে সরকারি ভূমি রক্ষার বিষয়ে আমরা কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজও শুরু করা হবে।’