বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় জনসংহতি সমিতির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে.এস.মং মারমা ও বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা।
শনিবার রাতে এই দুই নেতাসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে কে.এস.মং মারমা ও ক্যবামং মারমাকে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
জনসংহতি সমিতির ১৩ নেতাকর্মী এবং আরো ১০-১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী মেসাচিং মারমা।
দলের এই নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রোববার বান্দরবানে অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
১৯ মে জেলা সদরের রাজবিলা ইউনিয়ন থেকে অন্য এক আওয়ামী লীগ সমর্থক ক্যচিংথোয়াই মারমাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরো দুই ব্যক্তিকে। তারা হলেন, দীপন তঞ্চঙ্গ্যা (৩০) ও নতুন জয় তঞ্চঙ্গ্যা (৪৪)।
এসব ঘটনায় মগ লিবারেশন পার্টিকে দায়ী করেছে জনসংহতি সমিতি। দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক গুণেন্দু বিকাশ চাকমা প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে ও নিরাপত্তা বাহিনীর ছত্রছায়ায়’ মগ লিবারেশন পার্টি এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তারা দলের নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি জানান।