Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

যে দ্বীপে মানুষের সহজে মৃত্যু হয় না

“জন্মিলে মরিতে হবে”- এটি চির সত্য। এই কথার খেলাপ আজও  হয়নি। এমনকি এই গল্পেও ব্যতিক্রম কিছু নেই। তবে শিরোনামের কথাটিও মিথ্যা নয়। এমন জায়গাও আছে যেখানে মরতে হবে সত্য, তবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার পর। বলা যায়, ১০০ বছর বয়সেও মৃত্যু কী জিনিস তা নিয়ে চিন্তা করেন না সেখানকার বাসিন্দারা। 

করোনার পর মানুষের রোগ-ব্যাধির পরিমাণ যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে পৃথিবীর মধ্যেই এমন দ্বীপ আছে যেখানে ব্যাধির কোনও আঁচ পড়েনি। শত বছর বয়স হলেও অনেকে সেই দ্বীপে বাস করছেন সুস্থ-সবলভাবে। সেখানকার মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছর। গ্রিসের একটি ছোট দ্বীপ ইকারিয়ার গল্প এটি।
 
২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটি। এই দ্বীপের মানুষ দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণ হল পরিবেশ আর আবহাওয়া। জানা গেছে, স্তামাতিস মোরাইতিস নামে এক লোক মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইকারিয়া দ্বীপে এসে দীর্ঘদিন বেঁচেছিলেন। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, তিনি কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, এমনটাই লোকমুখে প্রচারিত। মানুষের গড় আয়ু যে শুধু ১০০ বছর তা নয়, বরং তার চেয়েও অবাক করার মতো বিষয় হল এই দ্বীপের বৃদ্ধদের সঙ্গে মিল নেই সারা বিশ্বের বাকি বৃদ্ধদের। কারণ ১০০ বছর বয়সেও তারা দিব্যি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত গির্জার সিঁড়ি পার করে ফেলেন। এখনও এই দ্বীপের বাসিন্দারা জীবন নির্বাহের জন্য ঘড়ির ওপর নির্ভর করেন না।
 
তবে প্রশ্ন এটাই জাগে যে কী খেয়ে তারা দীর্ঘ জীবন লাভ করেছেন? তারা নাকি জীবনের কোনও সমস্যা নিয়েই মাথা ঘামান না। কেউ মাথা ঘামান না টাকা পয়সা নিয়েও। এখানকার বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে রয়েছে বেশি পরিমাণে টাটকা শাক-সবজি এবং ফল-মূল। তাদের খাদ্যাভ্যাসে নেই কোনওরকম ফাস্টফুডের জায়গা। এমনকি তাদের খাদ্যের তালিকায় মাছ-মাংসের পরিমাণও খুবই নগণ্য। এখানকার ভূ-প্রকৃতি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আলাদা করে শরীরচর্চা করেন না তারা। ঠান্ডা পরিবেশে শরীর গরম রাখতে এখানকার লোকেরা নিজেদের তৈরি স্থানীয় মদ খান। তবে তাও ২ গ্লাসের বেশি না। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্যে তাদের ভরসা এক ধরনের হার্বাল চা।

শেয়ার করুন
Exit mobile version