Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

যে কারণে খড়ম পরেন সাধু-সন্ন্যাসীরা!

ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কাঠের পাদুকা বা খড়ম। বাংলাদেশেও এক সময় খড়মের প্রচলন ছিল। জমিদার ও স্থানীয় ভূ-স্বামীরা পরতেন খড়ম। এখন এই ধরণের পাদুকা নেই বললেই চলে। তবে ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন কিছু সাধু-সন্ন্যাসী। এখনো তাদের অনেকের পায়ে খড়ম শোভা পায়।

তবে পৃথিবীর প্রাচীনতম খড়ম পাওয়া গিয়েছিল ভারতের বাইরে। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে প্রাচীনতম এই খড়ম পাওয়া গিয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০০ থেকে ৮০০০ বছর আগে। বর্তমানে চামড়া কিংবা ফোম জুতো তৈরির কাছে ব্যবহৃত হলেও অতীতে এই দুই উপকরণ মোটেই সহজলভ্য ছিল না। বরং কাঠের প্রাচুর্য ছিল গোটা বিশ্বেই। স্বাভাবিকভাবেই কাঠই বেছে নেওয়া হয় জুতো তৈরির প্রধানতম উপকরণ হিসেবে।

দীর্ঘস্থায়ী, কম খরচে তৈরি করা হতো বলে কাঠের তৈরি জুতোরই প্রচলন ছিল সব জায়গায়। তা ছাড়া পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি জুতো ব্রাক্ষ্ণণ্যবাদীদের কাছে অস্পৃশ্য বলে বিবেচিত হতো। সেই অর্থে কাঠই পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হত। তাই তারা জুতো হিসেবে বেছে নিতেন খড়ম। আর এখন তো জুতো তৈরিতে প্রচুর পরিমানে গরুর চামড়া ব্যবহার করা হয়। আর সনাতনধর্মীদের কাছে গরু ‘গোমাতা’ বলে বিবেচিত। এ কারণে চামড়ার তৈরি জুতো এড়িয়ে চলেন সাধু-সন্নাসীরা।

শেয়ার করুন
Exit mobile version