বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন পর্যটকরা। কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় প্রবেশদ্বার থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ থাকায় আবাসিক সুবিধাও পাচ্ছেন না কেউ। ফলে অনেকেই রাত যাপনের স্থান না পেয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
কাঙ্ক্ষিত স্থানে ঢুকতে না পেরে কেউ কেউ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীদের সাথে বাক-বিতন্ডায়ও জড়িয়ে পড়ছেন। ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
৬ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার বিকালে বান্দরবান শহরের কাছে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের গেইটে কথা হয় আরমান হোসেন নামের এক পর্যটকের সাথে। তিনি ও তার এক বন্ধু চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে বেড়াতে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন গেইট বন্ধ। ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা। এক পর্যায়ে তাদের সাথে গেইটের গার্ডদের ঝগড়া লেগে যায়।
কিছুক্ষণ পরই সেখানে দুইটি মটরসাইকেলে চড়ে উপস্থিত হন আরো চার যুবক। তারাও নীলাচলে ঢোকার চেষ্টা করেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলো যে এখনো বন্ধ তা তারা জানতেন না বলে জানান।
একই দিন সন্ধ্যায় বান্দরবান শহরে হোটেল খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ। তাদের একজন রিফাত হাসান। তিনি বলেন, বান্দরবানে যে সব বন্ধ, আমরা খেয়াল করিনি। কোনো হোটেলও খোলা নেই। এসে বিপদে পড়ে গেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এখনো সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। এখনো হোটেল-রিসোর্টগুলো বন্ধ। মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলে এগুলো খুলে দেয়া হবে। পর্যটকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা যেন খোঁজখবর নিয়ে বান্দরবানে আসেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বলেন, বান্দরবানে এখনো কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনক। পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেবার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের ক্লিয়ারেন্স না পেলে আমরা এগুলো খুলে দিতে পারিনা। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে তখন স্পটগুলো চালুর অনুমতি দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৯ মার্চ থেকে বান্দরবানের সব পর্যটন কন্দ্রে বন্ধের ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।