লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি॥ লামায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০১৮ পালিত হয়েছে। মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল (বিএমএসসি), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, জেএসএস, ত্রিপুরা আদিবাসী ফোরাম ও ম্রো আদিবাসী ফোরাম এর যৌথ আয়োজনে মিছিল ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
উচ্ছেদ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে আদিবাসীরা: অভিযোগ নেতাদের
৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সংগঠন গুলো আলোচনা সভাস্থল লামা বাজার ছোট নুনারবিল কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার মাঠে মিলিত হয়। বেলা ১১টায় বৌদ্ধ বিহার হতে সম্মিলিত মিছিলটি শুরু হয়ে লামা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় আলোচনা সভাস্থলে এসে মিলিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী উপজাতি ছেলে-মেয়ে ও নানা পেশার লোকজন বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে স্লোগান দেয়।
এ সময় তারা একটি গুলি চললে দশটি গুলি চলবে, আদিবাসীরা খেলনা নয়, সামরিক নির্যাতন বন্ধ কর করতে হবে, আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে হবে, সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার কর এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এছাড়া নানা দাবি উত্থাপন করে রং বেরং এর প্লেকার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শন করে। যেগুলোতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার কর, পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক নির্যাতন বন্ধ কর, আমরা নয় পাহাড়ি- নয় উপজাতি- নয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি আমরা সবাই আদিবাসী, আগে চাই মাতৃভাষা- শিক্ষার পরে অন্য ভাষা, আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা চাই, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন কর, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন কর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি নয় আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা নিশ্চিত কর, আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই, আমাকে ভূমি অধিকার দাও, আদিবাসী কোটায় অ-আদিবাসী নিয়োগ বন্ধ কর, প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের পৃথক ছাত্রাবাস নির্মাণ কর’ ইত্যাদি লেখা ছিলো।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি সত্যপ্রিয় চাকমা। এছাড়া আরো উপস্থিত চিলেন, জেএসএস লামা উপজেলা সভাপতি অংগ্য মার্মা, মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল লামা উপজেলা সভাপতি বাচিং থোয়াই মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ উপজেলা আহবায়ক নুং ক্যও মং মার্মা, ম্রো আদিবাসী ফোরামের সভাপতি চংপাত ম্রো, ত্রিপুরা আদিবাসী ফোরামের উপজেলা সভাপতি প্রশান্ত ত্রিপুরা, হ্লামেনু মার্মা, সুখী মার্মা, জ্যাক মার্মা, মিকি মার্মা সহ প্রমূখ।