Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

প্যারাসিটামল নেই দুই মাস ধরে!

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ২ মাস ধরে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট পাচ্ছেন না রোগীরা। খুব সাধারণ এই ওষুধটি কেন পাওয়া যাচ্ছেনা তা জানেননা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন কেউই।

শনিবার দুপুরে হাসপাতালে আসা রোগী জগথা গ্রামের শেফালি বেগম, মর্জিনা, ফজির উদ্দীনসহ বেশ কয়েক জন রোগী জানান, অন্যান্য দামি ওষুধের সাথে প্যারাসিটামলটিও নেই হাসপাতালে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্টোর কিপার বকুল জানান, এ উপজেলার জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দরকার। কিন্তু সে পরিমাণ সরবরাহ পাওয়া যায় না। ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের মত পাওয়া যায়। যা দিয়ে বছর চালানোই কঠিন। তারপরও চলতি অর্থ বছরে অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ পাওয়া যায়নি। যা ছিল তা প্রায় ২ মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। এতে করে আমরাও হাসপাতালে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ করতে পারছি না। জেলা সিভিল সার্জন অফিসকে বিষয়টি অবহিত করে ওষুধ চাওয়া হয়েছে।

ফার্মাসিষ্ট আনোয়ার জানান, প্রতিদিন জ্বর-সর্দি, মাথা ব্যাথার অনেক রোগী আসছে। কিন্তু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ না থাকায় তারা দিতে পারছেন না। তবে বাচ্চাদের প্যারাসিটামল সিরাপ সরবরাহ আছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ জুবায়ের জানান, সরকারিভাবে সরবরাহ নাই। তাই ভর্তিকৃত রোগীদেরও তারা হাসপাতাল থেকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিতে পারছেন না। যাদের দরকার হচ্ছে। লিখে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে তারা কিনে আনছেন।

প্যারাসিটামল ট্যাবলেট না থাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আরশাদ হোসেন বলেন, ‘প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নাই। এটা আমার জানা নেই।’ তিনি তাৎক্ষনিক স্টোর কিপার ও ফার্মাসিষ্টকে ডেকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং সত্যতা পেয়ে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু মোহাম্মদ খয়রুল কবীর জানান, তিনি ছুটিতে ছিলেন। সবেমাত্র এসেছেন। বিষয়টি তার জানা নেই। এ রকম হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন
Exit mobile version