রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বেলজিয়াম। দলের হয়ে গোল দুটি করেন থমাস মিউনিয়ার ও এডেন হ্যাজার্ড। চলতি আসরে এ দুই দলের এটা ছিল দ্বিতীয় লড়াই। এর আগে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংলিশদের ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল বেলজিয়াম।
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর চতুর্থ মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় বেলজিয়াম। ইংল্যান্ডের ডিফেন্সের ভুলই ছিল মুখ্য। খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় বেলজিয়াম। নাসের সাদলির ক্রস থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান থমাস মুনিয়ে। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেলজিয়ামের দ্রুততম গোল। আর ইংলিশরা গড়ে সবচেয়ে দ্রুত গোল হজমের রেকর্ড।
২৩ মিনিটে গোল পরিশোধের বেশ ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। রাহিম স্টারলিংয়ের লং পাস থেকে পেনাল্টি সীমানায় বল পেয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। অন টার্গেটে নেয়া শটটি চলে যায় গোলপোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট যেতে না যেতেই ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের চলতি আসরে ৪ গোলধারী রোমেলু লুকাকু। কেভিন দে ব্রুইনির ক্রস পেয়ে পাওয়া বলটি নিয়ে একাই ঢুকে পড়েছিলেন ইংলিশ পেনাল্টি সীমানায়। কিন্তু গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড তা প্রতিহত করে দেন।
তবে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি হ্যাজার্ড। তিনি দে ব্রুনেইর এগিয়ে দেয়া বল থেকে ইংলিশ রক্ষণ ভেঙে বাঁ দিক দিয়ে চূড়ান্ত ফিনিশিং টানলে ২-০ তে এগিয়ে যায় রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা। কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের আশা।
এরপর বেশ কিছু আক্রমণ হলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলে চতুর্থ হয়েই বিশ্বকাপ শেষ করে ইংলিশরা। অথচ কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরিয়ে যখন সেমিফাইনালে উঠল, ভাবভঙ্গী এমন ছিল যেন বিশ্বকাপটাই জিতে নিয়েছেন ইংল্যান্ড! কিন্তু চমক দেখিয়ে তাদের শেষ চারেই থামিয়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ বেলজিয়ামের কাছে পাত্তাই পেল না দলটি।
তবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও চলতি আসরের গোল্ডেন বুট প্রায় অনেকটাই নিশ্চিত ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের। নিজের প্রথম তিন ম্যাচে দেওয়া ৬ গোলই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ৩টি করে গোল দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে আছেন আতোঁয়া গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপেও। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করতে পারলেই বুট জিতবেন। তবে কাজটা সহজ নয়।#
