জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলা ও পিডিবি’র চেয়ারম্যান।

শুক্রবার সকালে উচ্চ পর্যায়ের এই ৪ সদস্য বিশিষ্ট দল বড়পুকুরিয়া এলাকায় পরিদর্শন করেন। তারা হলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কোয়াস, জ্বালানী সচিব আবু হেনা মো: রহমতুল মুনিম ও পিডিবি’র চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।

পরিদর্শন শেষে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কোয়াস বলেন, বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা চুরি ও কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি বৈঠক করেন। এরপর তারা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শন করেন। .

বৈঠক ও পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ সচিব জানান, লোড ব্যালেন্সের সমস্যা হলেও বিদ্যুতের তেমন ঘাটতি নেই। তাছাড়া সিরাজগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমানো হয়েছে।

একই সাথে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো: ফয়জুল্লাহ জানান, যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্রুত কয়লা উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকেই খনির উত্তোলন শুরু হবে।

অপরদিকে জ্বালানী সচিব আবু হেনা মো: রহমতুল মুনিম বলেন, খনিতে কয়লা ঘাটতির ব্যাপারে কর্মকর্তারা কি বলছেন এবং বাস্তবে কয়লার বিষয়টি দেখার জন্য এই পরিদর্শন। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাহিদা মোতাবেক কয়লা সরবরাহ কবে নাগাদ দেয়া সম্ভব এবং কয়লা খনির উৎপাদন কবে শুরু করা সম্ভব সেটিও পরিদর্শনের বিষয় ছিল। কয়লা ঘাপলায় সিস্টেম লসের দাবি করলেও সেটি বিশ্বাস করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, দুদক বিষয়টি তদন্ত করছে। সত্যিকার অর্থে কয়লা ঘাটতি হলে তার দায়-দায়িত্ব কর্মকর্তাদের এবং তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।

বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে পারে, আর এই স্বার্থে আগামী ঈদে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটি পালন না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব।

শেয়ার করুন