Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে হাসপাতালে ও চিকিৎসকদের কাছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছেন। গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর তেমনটা নেই বললেই চলে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গলাব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো পরিচিত কিছু ভিন্নধর্মী লক্ষণ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিচ্ছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন থেকে প্রচণ্ড জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে র‍্যাশ বা দানা দেখা দেওয়া। কারও কারও বমি হতে দেখা যাচ্ছে।

তবে মনে রাখা উচিত, এ সময়ের জ্বর মানেই কেবল ডেঙ্গু নয়। কাছাকাছি ধরনের লক্ষণ নিয়ে অন্যান্য জ্বরও দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বর ছাড়াও পানিবাহিত টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। তাই জ্বর হলে লক্ষণ-উপসর্গ মিলিয়ে ও প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

এ সময় জ্বর এলেই ভয় পাবেন না। ফ্লু বা ডেঙ্গু—যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ আপনা থেকেই সেরে যাবে। জ্বর এলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর স্পঞ্জ করুন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। আর কোনো ওষুধের দরকার নেই।

জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো বাড়িতে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তিন দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। নিজে দোকান থেকে কিনে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অনুচক্রিকার মাত্রা বিপজ্জনক হারে কমে যেতে দেখা যাচ্ছে এবার। এটি ডেঙ্গু জ্বরের একটি জটিলতা। অনুচক্রিকা কমে গেলে দাঁত, ত্বকের নিচ, নাক ইত্যাদি স্থানে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে। কখনো আরও মারাত্মক রক্তপাতও হতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলেই বা অনুচক্রিকা কমে গেলেই রোগীকে রক্ত বা প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়—এমন ধারণার ভিত্তি নেই। ডেঙ্গু হলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতেই হবে—এ ধারণাও ভুল। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। একেকজনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

শেয়ার করুন
Exit mobile version