ভরপুর আমের মৌসুম এখন। আমের যেমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনই আমের আঁটিরও রয়েছে নানান উপকারিতা। তাই আম খাওয়ার পর আমের আঁটি ফেলে না দিয়ে যত্নে রাখুন। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান।
আমের আঁটি নানা সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে প্রথমে এটি গুঁড়া করে নিন। এবার জেনে নিন আমের আঁটির গুঁড়ার গুণাবলিগুলো-
১. আপনি যদি খুশকির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যান তবে আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। এক চিমটি আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে ২-৩ চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। এতে চুল উজ্জ্বল হবে পাশাপাশি খুশকির সমস্যা দূর হবে।
২. শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের আমের আটির জুড়ি নেই। এজন্য আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ত্বক তেলতেলে ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
৩. দাঁতের যত্নেও আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। ঝকঝকে দাঁত আর সুস্থ মাড়ি পেতে আমের আঁটির গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজুন।
৪. পিঁপড়া, মৌমাছি বা অন্যান্য কীট কামড়ালে জ্বালা-পোড়া করে। এই জ্বালা-পোড়া দূর করতে আক্রান্ত স্থানে আমের রস বা আমের আঁটির গুঁড়া লাগালে সাময়িক ভাবে ব্যথার বোধ দ্রুত কমে যায়।
৫. যে কোনও খাবারের সঙ্গে আমের আঁটির গুঁড় মিশিয়ে খেতে পারলে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।