ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম গোলাপি রঙের বল ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট। উপমহাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টও এটি। এ উপলক্ষে টেস্টের ভেন্যু কলকাতায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। করা হচ্ছে নানান আয়োজন। সব ছাপিয়ে তবু আলোচনায় গোলাপি বল। ক্রিকেট সাধারণত লাল ও সাদা বলে হয়ে থাকলেও সাদা পোশাকে দিবা-রাত্রির খেলাতে চালু হয় গোলাপি বল।
অন্যান্য বলের চেয়ে কেন এই বল আলাদা?
গোলাপি বলের উজ্জ্বলতা খুব ভালো। সহজে এটি পুরোনো হয় না। বলটি ঝকঝকে করার জন্য এতে বিশেষ ধাতু এবং রাসায়ানিক স্তর বা ‘ল্যাকার’ দেওয়া হয়। বল শুকিয়ে যাওয়ার পর করা হয় পালিশ। সেই জেল্লা সুইংয়ে সাহায্য করে। ল্যাকারের জন্য এটি টেকেও বেশি সময়। পুরনো হতে সময় নেয়। লাল বা সাদা বলের তুলনায় গোলাপি বলের স্তর মোটা। এসব কারণে এই বলে বাড়তি সুবিধা পান পেসাররা।
যেহেতু বাড়তি স্তর দেওয়া হয়, তাই এই বল তৈরি করতেও লাগে বেশি সময়। একটি গোলাপি বল তৈরি করতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ দিন।
গোলাপি চামড়া পাওয়া যায় না বলে এতে গোলাপি রঙ করতে হয়। চূড়ান্ত সেলাইয়ের আগে একবার ও পরে আবার করা হয় রঙ। অতিরিক্ত রঙ থাকায় এটি কারো কারো কাছে কমলাও দেখায়। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেমন বলছিলেন, বলটি গোলাপি নাকি কমলা তিনি বুঝতে পারছেন না!
লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলের সেলাই অনেক মোটা, এটি হাতে সেলাই করা হয়। এতে সিমে ফেলে বাড়তি বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন বোলাররা। তবে সিম মোটা হওয়ায় ও শাইন বেশি থাকায় এই বল দিয়ে রিভার্স সুইং করানো বেশ শক্ত।
বাংলাদেশ-ভারতের টেস্ট ম্যাচ হবে এসজি গোলাপি বলে। এর আগে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যবহৃত হয়েছিল কোকাবুরা ডিউক বল। ওই বলে স্পিনারদের জন্য সুবিধা ছিল কম। বল অনেক বেশি মুভমেন্ট করায় পেসাররা পাচ্ছিলেন সুবিধা।