Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করলো দুবাই

করোনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এখনো এই মারণ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ উদ্ভাবন করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে দুবাই ঘোষণা দিয়েছে, তারা করোনার সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে।

বুধবার এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিডিয়া অফিস। দুবাইয়ের এক করোনা রোগীর শরীর থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে এর সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। আর এই কাজটি করেছে মোহাম্মদ বিন রশিদ মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসের (এমবিআরইউ) গবেষকরা। ধারণা করা হয়, যে এই প্রথম কোনো দেশে কোভিড-১৯ এর ডিএনএ’র পুরোপুরি রহস্য ভেদ করতে পেরেছেন গবেষকরা।

অনেক দেশ রোগীর নমুনা থেকে ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সগুলো নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে। কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এর জিনগত উপাদানগুলোতে ছোট ছোট পরিবর্তন আসে। আর এটি পরীক্ষা করে বুঝা যায় ভাইরাসটির রহস্য।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো, যা মিউটেশন হিসেবে পরিচিত, গড়ে প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর মিউটেশন হয়। অনেক রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসটির জিনগত ক্রম এবং সময়ের সাথে সামান্য পরিবর্তনগুলো অধ্যয়ন করে বিজ্ঞানীরা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় সে সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পেতে পারে। এটি করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

এমবিআরইউর প্রভোস্ট, এমিরেটস সায়েন্টিস্ট কাউন্সিলের সদস্য এবং দেশটির কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাবি আলশেখ আলী বলেছেন, জিনোম রহস্য আবিষ্কার এক বৃহত্তর অধ্যয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। তিনি আরো বলেন, ‘‘এখন আমাদের লক্ষ্য বিভিন্ন বয়সের এবং এই মহামারির শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ের ২৪০ জন করোনা রোগীর কাছ থেকে নমুন সংগ্রহ করা। আমরা রোগীদের মধ্যে রোগের তীব্রতার তথ্যও সংগ্রহ করব যা ভাইরাসটির বিভিন্ন স্ট্রেন বিভিন্ন স্তরের রোগের তীব্রতার সাথে যুক্ত কি-না তা বুঝতে আমাদের সহায়তা করতে পারে।’’

শেয়ার করুন
Exit mobile version